ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিকিৎসকদের প্রাইভেট চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা চলছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চিকিৎসকদের প্রাইভেট চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা চলছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে স্ব-স্ব কর্মরত প্রতিষ্ঠানের চেম্বারে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চিকিৎসার

সুযোগ সৃষ্টিতে পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নবনির্মিত আধুনিক বহির্বিভাগের তিন তলা বিশিষ্ট ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস এবং ক্লিনিকেও কাজ করতে পারেন ; সেই ব্যবস্থা বর্তমান নীতিমালায় রয়েছে। এটা কোন অন্যায় নয়। তবে নীতিমালায় এটুকু আছে যে স্ব-স্ব কর্মরত প্রতিষ্ঠানে ২ টা পর্যন্ত পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই তা করতে হবে। এর আগে মন্ত্রী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর ৩৫ কোটি টাকা অর্থায়নে তিন তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত আধুনিক ভবন উদ্বোধনকালে জাহিদ মালেক বলেন, নতুন ভবনে অনেকগুলো সেবা ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ডেন্টাল, কার্ডিয়াক, চক্ষু, অটিস্টিক শিশু, কিডনি এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা সহ নানা কার্যক্রম। কক্সবাজারে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্টি ও আগত পর্যটকদের কথা বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবার পরিধি আরও সম্প্রসারণ জরুরি বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জেলার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ছয় শতাধিকের বেশী রোগীর চাপ সামলাতে হচ্ছে মন্তব্য করে জাহিদ মালেক বলেন, " হাসপাতালে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, ফ্লোরে থেকে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে দেশে ফ্লোরে থেকে কোন রোগী চিকিৎসা নেবে না। প্রতিজন রোগীকে সসম্মানে বেডে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, "কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নতুন যে ভবন নির্মিত হয়েছে তাতে ৭ তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। ভবনটি উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ভবনটিতে আরও ২৫০ শয্যার ব্যবস্থা করে হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রের রূপ দেওয়া হবে।"

এসময় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল চালুর কার্যক্রম দ্রুততর সময়ে শুরু করা হবে জানিয়ে জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, "করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতার কারণে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে ভবন নির্মাণের প্রস্তাবনা ইতিমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সভাপতিত্বে ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মোমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও সাবেক সচিব হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন, ইউএনএইচসিআর এর কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ইয়োকো আকাসাকা ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এদিকে বিকালে কক্সবাজার শহরের অভিজাত এক হোটেলে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদারসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসক এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় মন্ত্রী সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রোগীদের নিরবিচ্ছিন্ন চিকিৎসা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী,প্রাইভেট চিকিৎসা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত